সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
(২য় পর্ব)
এসব শুনে লিরা পুরো হতবাক কিন্তু তার বিশ্বাস আছে হিরার কিচ্ছু হয় নি সে বেঁচে আছে।
লিরা তখন suicide forest এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে পরে।সেখানে দিয়ে সে একটি হোটেল এ আশ্রয় নেয়। হোটেল এর মেনেজার এর সাথে কথা বলে সে জানতে পারে তার মত দেখতে আরেকজন এই হোটেল এ আশ্রয় নিয়েছিল মানে হিরা। লিরা এসব শুনে আশ্বাস পায়। সে জায়গায় সে suicide forest নিয়ে আরো নানান ঘটনা শুনতে পায়। তবে সে সেসব কথায় কান না দিয়ে এগিয়ে পরে। suicide forest এ যাওয়ার সময় লিরা কে হোতেল এর মেনেজার ও আরো কয়েকজন মানুষ নিষেধ করেছিল কিন্তু সে রাজি হয় নি। সে তার বোন কে খুজবে তার একটাই বিশ্বাস তার বোন সে জংগল এ বেঁচে আছে।
লিরা একাই সেই ভয়ানক জংগল এর দিকে পা বাড়ায়। জংগল এর ভিতর হাটতে হাটতে প্রায় অন্ধকার হয়ে আসে আর সে জংগল এর কিছুটা গভীরেও চলে গিয়েছে। সে সেইখানে গিয়ে হিরা হিরা বলে চিতকার করতে থাকে। তবে কোনো সাড়া পায় না। হঠাৎ লিরার মনে হয় লিরার পিছনে কেউ একজন আছে পেছনে ফিরে তাকাতেই এক ভয়ানক অভয়ব তার মুখের সামনে চলে আছে লিরা ভয়ে চিৎকার দিয়ে ছুটতে ছুটতে জংগল এর আরো গভীরে চলে যায়। লিরার আশে পাশে এখন সব ভয়ানক মুর্তি। কেউ লিরাকে ডাকছে কেউ তার দিকে এগিয়ে আসছে। লিরা এসব দেখে ভয় এ এক কোনায় কুকড়িয়ে বসে কাদঁতে থাকে। পরে সে ভাবে তার হার মানলে চলবে না এসব তার চিন্তা ভাবনা তার কল্পনা কিছুউ বাস্তব নয়। লিরা আবার হাটা শুরু করে। সামনে একটি ছোট্ট কুড়েঘর লিরার চোখে পড়ে। সে সেখানে যায় দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সামনে তাকালে দেখতে পায় আত মৃত বাবা যে কিনা তাদের চোখের সামনেই নিজেকে গুলি কেরে শেষ করে দিয়েছিল দাঁড়িয়ে হাসছে। লিরা এ দেখে বেশ ভয় পায় দৌড়ে পালাতে চাইলে দরজা বন্ধ সে ভয়ে আবার পিছনে ফিরে তাকালে এক ভয়ানক ছায়া এসে লিরার মুখ চেপে ধরে লিরার অবস্থা মৃত প্রায় হঠাৎ অভয়ব টা গায়েব হয়ে যায় আর দরজা খুলে যায় লিরা পালাতে থাকে তখন তার সামনে সে দেখে হিরা একটি গাছ এর সাথে ঝুলে আছে। লিরা সেখানে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হঠাৎ মাথা নিচু হয়ে ঝুলন্ত হিরা মুখ তুলে এক ভয়ানক হাসি দিয়ে লিরার দিকে এগিয়ে আসে আর লিরা চিৎকার দেয় চোখ বন্ধ করে ফেলে একটু পর চোখ খুল্লে দেখে সেখানে কেউ নেই না আছে হিরার ঝুলন্ত দেহ।
তখন আর কোনো দিশা না পেয়ে লিরা ছুটতে থাকে এইভাবে সে রাস্তা হারিয়ে ফেলে সামনে দেখে একটি তাবু। তাবু দেখে লিরা বেশ খুশি হয়ে যায় কারন তাবু টি সে চিনে এটি হিরার তাবু হিরা এইখানে আছে। হিরা কে সে পেয়ে গেছে। লিরা দৌড়ে তাবুর কাছে গেলে দেখে তাবু ফাকা হিরা সেখানে নেই। তবে লিরা ভাবে হিরা এইখানে আবার আসবে তখন তারা একসাথে বাসায় যাবে সে এইখানেই হিরার অপেক্ষা করবে। অপেক্ষা করতে করতে লিরা তাবুতেই ঘুমিয়ে পড়ে।
হঠাৎ লিরা দেখতে পায় তার বাবার আত্না তার উপর বসে তার গলা চেপে ধরে আছে। লিরার শ্বাস আটকিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ লিরা লাফ দিয়ে উঠে এটা তার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সে শুনতে পায় বাইরে কেউ ফিস ফিস করে শব্দ করছে। এত রাতে কে? হিরা? সে আস্তে আস্তে তাবুর জানলা খুললে দেখে বয়স্ক অনেক নারী তাবু ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। নারী তো নয় এরা যেন পিশাচ কি ভয়ানক চেহেরা তাদের। চোখ এর কালো মনি নেই শরীর এর চামড়া খসে পরে যাচ্ছে। লিরা এসব দেখে সেখানেই বেহুশ হয়ে পরে যায়।
পরের দিন চোখ খুল্লেই সে বুঝতে পারে তার সব হ্যালুশেশন হচ্ছে। সে এখন আর পারছেনা। হিরা কি সত্যিই আত্নহত্যা করে নিয়েছে? কোথায় সে? হিরা তাবুতে ফিরে আসবেনা। লিরা বুঝতে পেরে আবার হাটতে শুরু করে সামনে একটা গাছে সে একটি ছুরি দেখতে পায় সেটি সে সেইফটির জন্য নিজের কাছেই রেখে দেয়। আরো সামনে পা বাড়ায়। সামনে হাটতে হাটতে সে হার মেনে নেয়। সে মনে মনে ভেবে নেয় হিরা বেঁচে নেই। এই জংগল এ বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই জংগল যেন একটি মরণক্ষেত। এইখানে অতীত আছে আছে সে সকল ব্যক্তিদের আত্না যারা ক্ষুধার জ্বালায় এইখানে নিজের জীবনের সম্পাতি করেছিল। ঘুরছে সেইসকল বয়স্কদের অতৃতপ্ত আত্না যারা এখন মানুষের রক্ত চায়। এইসব ভাবতে ভাবতে লিরা একটি খাদে পরে যায় ও গুরুতর আহত হয়। তার হাত কেটে অঝোরে রক্ত বইছে কোনো ভাবে বন্ধ হচ্ছেনা। একটা বিশাল আকৃতির জিহবা এসে লিরার হাত টা চেটে যায় তাৎক্ষনিকের মধ্যে কি হল লিরা বুঝতে না পেরে উঠে দারিয়ে দেখে রক্তের কোনো বিন্দুও তার হাতে নাই কেউ যেন শুষে নিয়েছে। লিরা একটি কাপড় পেচিয়ে হাটা শুরু করে আর হিরা হিরা বলে ডাকতে থাকে। তখন সামনে সে হিরা কে দেখতে পায়। হিরা কে দেখতে পেয়ে লিরা হিরা বলে দৌড় দিলে হিরার অভয়ব টি সরে যায় আর সামনে থাকা একটি বড় লোহা তার পেটে ঢুকে আর পার হয়ে যায়।
শেষ নয়……
চলবে….